ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যান ও হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যান ও হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও:
সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ঢোলার হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় ও হিসাব সহকারি ইব্রাহিম আলীর বিরুদ্ধে আয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের ।
রুহিয়া থানায় শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর  মামলাটি করেন আয়া উরু বেগম  । যার মামলা নং-১০।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অখিল চন্দ্র রায় ও হিসাব সহকারি ইব্রাহিম আলি নারী নির্যাতনকারী নারীলোভী ও ধর্ষণকারী ব্যক্তি। আমাকে ঢোলারহাট ইউপিতে ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ দেয় এবং সরকারী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় আমাকে চেয়ারম্যান  কক্ষে ডেকে নিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করতে বলে। আমি অখিল চন্দ্র রায়ের কথামতো বাথরুম পরিষ্কার করতে গেলে সুযোগ বুঝে বাথরুমে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি কান্নাকাটি করিতে থাকিলে হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলী দৌড়ে আসে এবং তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জানতে চাইলে  আমি বিষয়টি খুলে বলি। সেই সুযোগে আমার সরলতার সুযোগ বুঝে সেও আমার বুকে হাত দেয় এবং তার রুমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমি কোনরকম ইব্রাহীমের নিকট হতে ছুটে রুম থেকে বেরিয়ে যায় এবং চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে করতে আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে আমার স্বামী ও আমার পরিবারের লোকজনকে জানাই। পরবর্তীতে ঘটনার দিন রাতে  আসামিদ্বয় আমার বাড়িতে এসে তাদের ভুল স্বীকার করে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিকিৎসার জন্য ২০০০ টাকা বিছানার উপর ফেলে চলে যায়। উক্ত বিষয় নিয়ে আপস-মীমাংসার কথা বলে পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আপস-মীমাংসা না হলে এজাহার দায়ের করিতে সামান্য বিলম্ব হইল।
এদিকে অভিযুক্ত অখিল চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ও আমার হিসাব সহকারীকে  সামাজিকভাবে হেয় করতেই প্রতিপক্ষরা এই ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে বলে দাবি অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের। আমাকে ঘায়েল করতে প্রতিপক্ষের লোকজন ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে। আমি কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না, আর আমাকে সমাজে হেয় করার জন্য এসব করা হচ্ছে।’
ব্যবস্থা গ্রহন করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার উপদেষ্টাদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
 অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা  বলেন, পুলিশ হেফাজতে ওই মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেয়ন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন